গতকাল গভীর রাতে মহারাষ্ট্রের বম্বের ব্রিজ ক্যান্ডি হাসপাতালে সকলের ছেড়ে চলে গেছেন পৃথিবীর বিশিষ্ট শিল্পপতি রতন টাটা। মৃত্যু কালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬, বছর। তার জন্ম হয় ১৯৩৭, সালে। ছোট বেলায় থেকে মেধাবী ছাত্র হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।বড় বেলায় বহু মেহনত করে গড়ে তোলেন টাটা গুরুপ এন্ড ইন্ডাস্ট্রি। তিনি জীবিত অবস্থায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গড়ে তোলেন টাটা গুরুপ এন্ড ইন্ডাস্ট্রি র বিভিন্ন প্রকল্প। তার মধ্যে টাটা মোটরস ও টাটা কমিউনিকেশন এবং টাটা ওয়েল ইন্ড্রাষ্ট্রিজ এবং টাকা টি ও টাটা কফি সহ টাটা ক্যামিক্যাল ও অন্যান্য শিল্প বাণিজ্য ইন্ড্রাষ্ট্রিজ। আজ সকালে যখন তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে সারা ভারতের বিভিন্ন যায়গায় শোকের ছায়া নেমে আসে।তার মৃত্যুর খবর শুনে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুম্মু এবং ভারতের জাতীয় কংগ্রেস এর নেতা রাহুল গান্ধী ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ও পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ। তিনি জীবিত অবস্থায় পশ্চিম বাংলার সিঙ্গুরের শিল্প বাণিজ্য হাব গড়ে তুলতে তত্কালীন পশ্চিম বাংলা সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এর সাহায্যে চায়। তিনি টাটা মোটরস কারখানা তৈরি করতে জমি দেন। কিন্তু তৎকালীন পশ্চিম বাংলার বিরোধী দলের নেত্রী ও বর্তমান পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গনতান্ত্রিক আন্দোলন এর জেরে তা বন্ধ হয়ে যায়। অধরা থেকে যায় তার সিঙ্গুরের শিল্প বাণিজ্য হাব।তার সত্যেও তিনি পশ্চিম বাংলার বুকে বহু শিল্প বাণিজ্য ইন্ড্রাষ্ট্রিজ স্হাপনা তৈরি করেছেন। সারা বিশ্বের সাথে ভারতের বুকে কয়েক হাজার বড় বড় শিল্প বাণিজ্য হাব গড়ে তুলেছে। তিনি শিল্প প্রতিষ্ঠান তৈরি ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করার জন্য ভারত সরকারের পক্ষ থেকে তাকে ভারত রত্ন পদক দেওয়া হয়। আজ তার মৃত্যু তে বিভিন্ন শিল্প বাণিজ্য ইন্ড্রাষ্ট্রিজ কর্নধার গভীর শোক প্রকাশ করেছেন, তার মধ্যে মুকেশ আম্বানি ও গৌতম আদানী সহ অন্যান্য শিল্প বাণিজ্য ইন্ড্রাষ্ট্রিজ প্রধানরা। মৃত্যু কালে রেখে গেছেন তার তৈরি গরীব মানুষের জন্য বহু হাসপাতাল এবং সেবাশ্রম এবং মন্দির ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চক্ষু হাসপাতাল এবং ধর্ম শালা সহ অন্যান্য সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান।।