কাজী আতিক, খুলনা প্রতিনিধিঃ ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৫:৪১:১৩
মোংলা-রামপাল সংসদীয় আসন বাগেরহাটের-৩ সহ জেলার চারটি আসন পুনর্বহালের দাবীতে প্রথম দিনের মোংলা বন্দর জুড়ে চলছে হরতাল। পুর্ব ঘোষনা অনুযায়ী চার দিনের কর্মসুচির মধ্যে সোমবার সকাল ৬টা থেকে নদী পারাপার, ইপিজেড, মোংলা বন্দরসহ সকল শিল্প প্রতিষ্ঠান, সরকারী-সেরকারী অফিসসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ ও সড়ক অবরোধসহ এক টানা এ হরতাল চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বলে জানায় সর্ব দলীয় সম্মিলিত কিমিটির নেতৃবৃন্দরা। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পর্যাক্রমে এ কর্মসুচি চলমান থাকবে। কর্মসূচির প্রথম দিনে (সোমবার) সকাল-সন্ধ্যা হরতাল, মঙ্গলবার বিক্ষোভ ও বুধ ও বৃহস্পতিবার এক টানা ৪৮ ঘন্টা আবারও হরতাল পালন করার ঘোষনা দিয়েছে সর্ব দলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতৃবৃন্দরা।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকেই মোংলার সকল দোকানপাট ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখছে ব্যবসায়ীরা। বন্ধ হয়ে যায় মোংলা-ঘষিয়াখালী নৌ-ক্যানেল দিয়ে সকল ধরণের নৌচলাচল। বন্ধ রাখা হয়েছে নদী পারাপারের খেয়ার ট্রলারও। এতে নদীর দুই পাড়ে ইপিজেডের গার্মেন্টস কর্মী সহ শত শত মানুষ জড়ো হয় তাদের কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য। বিড়ম্ভনায় পরেছে দুরপাল্লার যাত্রিরা।
এছাড়া মোংলা বাস স্ট্যান্ড থেকে সকাল থেকে ছেড়ে যায়নি খুলনা-যশোর-বাগেরহাট ও ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দুরপাল্লার কোন বাস। শহরেও কোন গাড়ী বা ভ্যান রিক্সা চলতে দেয়া হয়নি। এ হরতালের ফলে নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর কাটাতে হবে মানবতার জীবন-যাপন। যারা সকাল হলেই দিন মজুর বার ভ্যান রিক্সা চালিয়ে সংসার পরিচালিত হতো, তাদের এখন অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাতে হবে।
ভোর থেকেই হরতাল সফল হওয়ার জন্য সড়ক-মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে এবং রাস্তার মোড়ে মোড়ে সর্ব দলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা বসে থেকে হরতাল পালন করতে সহায়তা করছে, শহরের বিক্ষোভ মিছিল ও পথ সভাও করেছে তারা। এছাড়া হরতালের অংশ হিসেবে নেতাকর্মীরা সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করে মোংলা উপজেলা নির্বাচন অফিসের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয় নেতাকর্মীরা। পরে উপজেলা চত্তর থেকে মিছিল সহকারে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে।
নেতাকর্মীরা বলেন, দেশ স্বাধীনতার পর থেকেই বাগেরহাট জেলা ৪টি আসন বহালছিল। ৩০ জুলাই আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ জেলার চারটি আসনের মধ্যে একটি অংশ কমিয়ে তিনটি আসন করার প্রাথমিক প্রস্তাব দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এরপর থেকেই মোংলা-রামপাল সহ বাগেরহাটবাসী আন্দোলন শুর করে। তবে যদি নির্বাচন কমিশন তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসে তবে আরো কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কিমিটর নেতৃবৃন্দরা।


















