শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় খুলনা ডুমুরিয়া উপজেলার শোলমারী সুইসগেট পলি সরানো ও পানি নিস্কাশনের জন্য
স্থানীয় ২৩ টি গ্রামের লক্ষ লক্ষ মানুষ পানিবন্দী হয়ে আছে,তার প্রেক্ষিতে সুইস গেটের সামনে পলি মাটি যাহাতে অতিসত্বর পানি নিস্কাশন হয়, সে ব্যাপারে ২টি বড় এক্সভিটার (বেকু) নামিয়ে পলি মাটি কাটার ব্যবস্থা করেন, এসময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা এডিসি রাজস্ব কর্মকর্তা মুকুল মৈত্র, খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তাজকিয়া,ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আল আমিন, ডুমুরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আরাফাত হোসেন, ডুমুরিয়া উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এস এম আশরাফ হোসেন,ডুমুরিয়া উপজেলা বিশিষ্ট সমাজ সেবক হযরত মাওলানা মুফতী আব্দুল কাইয়ুম জমাদার, মোঃ শাহজাহান জমাদার, চেয়ারম্যান তুহিন,
বিশিষ্ট সমাজ সেবক শিল্পপতি প্রফুল্ল রায়, ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ ফরাদ হোসেন, সাইফুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান প্রমুখ।।
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার শোলমারী ১০ ভেন্ট স্লুইচ গেটের সামনে পলি জমে পানি বের হতে না পারায় বিল ডাকাতিয়া ও সংলগ্ন ২৩টিরও অধিক গ্রামের মানুষ জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। ভুক্তভোগী জনগণ গত ৬ মাস ধরে চেষ্টা চালালেও পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি ঘটেনি।
ডুমুরিয়া উপজেলা প্রশাসন ও খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ড জলাবদ্ধ এলাকা থেকে মুক্তির আশায় শোলমারী গেটের সামনে পলি তুলতে আসা ভুক্তভোগী জনগণের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবৎ ডুমুরিয়া উপজেলার জলাবদ্ধ বিল-ডাকাতিয়া অঞ্চলকে পানি নিষ্কাশনের লক্ষ্যে কেজেডিআরপি প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৯ সালে কোটি টাকা ব্যয়ে ডুমুরিয়া উপজেলার শোলমারী নদীর মুখে বাঁধ দিয়ে সেখানে ১০ ভেন্টের স্লুইচ গেট নির্মাণ করা হয়। তার ফলে বিল ডাকাতিয়া সংলগ্ন মানুষ ২২-২৩ বছর ধরে জলাবদ্ধতা মুক্ত হওয়ায় ব্যাপক হারে মিষ্টি পানির চিংড়ি ঘের ও ঘেরের আইলে সবজি চাষ করে আর্থিকভাবে ঘুরে দাঁড়ান। এভাবে বেশ কয়েক বছর যাবৎ ভালই চলছিলো। কিন্তু ওই স্লুইচ গেটের সামনে পলি পড়তে পড়তে পানি সরবরাহ এক প্রকার বন্ধ হয়ে গেছে। চলতি বছর মার্চ মাস থেকে ডাকাতিয়া বিলে আবার জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। তাছাড়া চলতি মৌসুমে পর্যাপ্ত বর্ষায় জলাবদ্ধ পরিস্থিতি মারাত্মক রুপ ধারণ করে। অধিকাংশ চিংড়ি ঘেরের আইল পর্যন্ত পানি উঠে যাওয়ায় মানুষ নিরুপায় হয়ে উচ্চ মূল্যে নেট কিনে মাছ রক্ষার চেষ্টা করতে থাকে।
উল্লেখ্য ডুমুরিয়া উপজেলার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ শোলমারী সুইচগেট রক্ষায় এর উপর দিয়ে যাতে ইট, বালু বোঝাই ট্রাকসহ ভারী যানবাহন চলাচল করতে না পারে তারজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের পোতা কংক্রিটের ভারী খুঁটি উঠিয়ে ফেলেছেন এক ইট ভাটা ব্যবসায়ী। গতকাল শনিবার স্থানীয় একজন প্রতিনিধির উপস্থিতিতে প্রশাসনকে ভুল তথ্য দিয়ে কাজ করা হয়েছে বলে জানাগেছে । মুলত ব্যবসায়ীদের বালি ও ইটের ট্রাক চলাচলের সুবিধার্থে একাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। জানা যায় ডুমুরিয়া উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকার ২ ডজন খানেক মৌজার কয়েক হাজার হেক্টর জমির পানি নিস্কাষন জন্য শোলমারী ১০ গেটের সুইচ গেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্ত এই গেটের উপর দিয়ে প্রতিদিন বালু ও ভাটা ব্যবসায়িদের ইট ও বালু বোঝাই ভারী যানবাহন চলাচলের কারনে গেটটি জরাজীর্ন হয়ে পড়ে । ফলে যেকোন সময় এটা ধসে বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে । বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ গত ১১ জুলাই গেটের উপর একটি ঢালাই (কংক্রিট) খুঁটি পুঁতে দেয় ভারী ট্রাক চলাচল বন্ধ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।।