শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:০৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ডুমুরিয়ায় ইউপি সদস্যার বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরি মধুপুর উপজেলা মেম্বার ফোরামের উদ্যোগে তিন শতাধিক কম্বল বিতরণ কঠোর নিরাপত্তা র মধ্যে দিয়ে শুরু হতে চলেছে গঙ্গা সাগর মেলা ও পূর্ণ স্নান হাজিরপাড়া চরমোহাম্মদপুর ইসলামিক সেন্টারের উদ্যোগে তাফসীরুল কুরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বিদেশী পিস্তল ও দেশীয় এলজিসহ আটক ২ বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থার সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত মধুপুরে সুমী নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার নোয়াখালী বেগমগঞ্জ উপজেলার ২নং গোপালপুর ইউনিয়নে আইন শৃংখলার ব্যাপক অবনতি। শ্যামনগরে মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশ।  জগন্নাথপুরে মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের ক্ষেত্র সহকারীর বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

ডুমুরিয়া আঠারোমাইল ঈসা কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন

শেখ মাহতাব হোসেন ডুমুরিয়া খুলনাঃ
  • Update Time : বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৪২ Time View

ডুমুরিয়ার আঠারোমাইল সৈয়দ ঈসা টেকনিক্যাল এন্ড বি এম কলেজ এর অধ্যক্ষ জি এম আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে দূর্নীতির প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছেন ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল-আমিন। বুধবার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগের শুনানীকালে একাধিক দালিলিক প্রমান মেলে তার বিরুদ্ধে। অধিক তদন্তের জন্য উপজেলা প্রশাসন পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। উপজেলা প্রশাসন সুত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ জি এম আব্দুস সাত্তার ও তার আপনজন এবং আত্মীয়রা মিলে লোপাট করেছে কয়েক কোটি টাকা। বার বার এ দূর্নীতিবাজ অধ্যক্ষের অপসারণের দাবি উঠলেও অদৃশ্য কারণে প্রতিবার পার পেয়ে যায়। এবার প্রতিষ্ঠানের একাধিক শিক্ষক তার দূর্নীতি খতিয়ে দেখতে এবং অপসারণ চেয়ে পৃথক দুটি আবেদন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে।ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার সকাল ১০ টায় উভয় পক্ষ নিয়ে শুনানী করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল-আমিন। শুনানীকালে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের সত্যতা মেলে। যে কারণে অধিকতর তদন্তের জন্য দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। একটি কমিটিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূ’মি) মোঃ আরাফাত হোসেন, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আবু বক্কার সিদ্দিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দিবাশীষ বিশ্বাসকে সদস্য করা হয়েছে। অপর তদন্ত কমিটিতে সদস্য করা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ হাবিবুর রহমান ও উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর মোঃ মনির হোসেনকে। এছাড়া ওই প্রতিষ্ঠানের শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে উপস্থিত হয়ে অধ্যক্ষের অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকে। এ সময়ে তারা এ দূর্নীতিবাজ অধ্যক্ষের অপসারণ এবং তার বিরুদ্ধে বিধি সম্মত আইনী ব্যবস্হা নেওয়ার দাবি জানান। অভিযোগকারী বাংলা বিভাগের প্রভাষক এম এম আলাউদ্দিন বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একাধিক দালিলিক তথ্যাদি উপস্হপনা করা হয়। এ সময়ে অধ্যক্ষ তার ¯^পক্ষে কোন কাগজ দেখাতে ব্যর্থ হয়।

ম্যানেজমেন্টের প্রভাষক মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, এ দূর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ গত সপ্তাহেও এমপিওতে নাম অর্ন্তভ’ক্তির জন্য ১ লাখ টাকা নিয়েছে। তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ২০ বছরে বিনা বেতনে চাকরী করে জীবন শেষ করেছি। এখন আবার বার বার টাকা দিতে দিতে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছি। এবার ভাইয়ের স্ত্রীর গহনা বন্ধক রেখে ১ লাখ টাকা দিয়েছি। তারপরেও এবারও আমারসহ ৫ শিক্ষকের নাম পাঠানো হয়নি এমপিও ভ’ক্তির তালিকায়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আল আমিন বলেন, বুধবার দু’পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানীকালে অধ্যক্ষের বেশ কিছু অনিয়ম ও দূর্নীতির প্রমান পাওয়া গেছে। অধিকতর তদন্তের জন্য পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১ সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করতে তদন্ত কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102