বাংলাদেশে ভূমি দস্যুদের এক বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন সালমান এফ রহমান, মেজর আরিফ, ইউনুস, মাসুদ, জুয়েল, ও হান্নান। এরা প্রায় ২০০/৩০০ বিঘা জমি দখল করে গরিব ও অসহায় মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছেন। দখলকৃত জমির মালিকদের মধ্যে রয়েছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ, এতিমখানা ও মাদ্রাসার জমির মালিকরা।
এই ভূমি দস্যুদের অত্যাচারে সাধারণ মানুষ তাদের ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। সানসিটি, মায়ানগর ও মোজার মিলে জমি দখল করে তারা স্থানীয়ভাবে “রক্তচোষা গ্যাং” নামে পরিচিত হয়েছে। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে, জালিয়াতির মাধ্যমে এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তারা জমি দখল করে আসছে, যার ফলে সাধারণ মানুষের অধিকার এবং সম্পত্তি ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। গ্যাংয়ের প্রধান সালমান এফ রহমান, বেক্সিমকো গ্রুপের মালিক এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হিসেবেও পরিচিত।
জমি দখলের শিকার ব্যক্তিরা:
মো. আলম আর্মি – ৫ শতাংশ জমি, দাগ নং: ৪৭/৫১
মো. মুফতি জাকির হোসেন – ৭ শতাংশ জমি, দাগ নং: ৩৬ এতিমখানা মাদ্রাসা
মো. সার্জেন্ট সাইফুল ইসলাম নৌবাহিনী – ৪ শতাংশ জমি, দাগ নং: ৯২/৯৪
মো. সার্জেন্ট নজরুল, পারভীন, জাহিদ – ৪ শতাংশ জমি, দাগ নং: ৯২/৯৪
সার্জেন্ট শুক্কুর আহমেদ গং আর্মি – ১০ শতাংশ জমি, দাগ নং: ১৫৩/১৬৩
মো. লুৎফর রহমান – ৫ শতাংশ জমি, দাগ নং: ১৫৩/১৬৩
মো. সার্জেন্ট দেলোয়ার আর্মি – ৪ শতাংশ জমি, দাগ নং: ৮৭/১০৭
মো. মিজানুর রহমান – ৩ শতাংশ জমি, দাগ নং: ৯২/৯৪
মো. আলতাব হোসেন – ৩ শতাংশ জমি, দাগ নং: ৯২/৯৪
মো. বাবুল গং – ৬ শতাংশ জমি, দাগ নং: ৯২/৯৪
মো. সেলিম – ৪ শতাংশ জমি, দাগ নং: ৭৮/৯৭
মো. নুর হাফিজ – ৩ শতাংশ জমি, দাগ নং: ৭৮/৯৭
মো. মিজানুর রহমান – ৫ শতাংশ জমি, দাগ নং: ৪৭/৫১
মো. তৌফাজ্জল হোসেন – ৪ শতাংশ জমি, দাগ নং: ৮৭/৮১
মো. আজাদ হোসেন – ৮ শতাংশ জমি, দাগ নং: ১০৭/১৩৬
মো. ইসমাইল হোসেন – ৪ শতাংশ জমি, দাগ নং: ৪৭/৯৭
মো. সালামুজ্জান – ৩ শতাংশ জমি, দাগ নং: ১৭০/১৩০
মো. সাইফুল ইসলাম – ৪ শতাংশ জমি, দাগ নং: ১৭০/১৩০
মো. হারুন ওর রশিদ – ৪ শতাংশ জমি, দাগ নং: ১৭০/১৩০
মোছা. পারভিন আক্তার – ৩.৫ শতাংশ জমি, দাগ নং: ১০৭/১৩৬
মোছা. আছিয়া বেগম – ২ শতাংশ জমি, দাগ নং: ৮১/১০০
মো. নূরনবী – ৩.৫ শতাংশ জমি, দাগ নং: ১০৭/১৩৬
মো. আনোয়ার খান, মো. আব্দুল রাজ্জাক, মোছা. ফাহিমা আক্তার – ৫ শতাংশ জমি, দাগ নং: ৭৮/৯৮
মো. রেজাউল ইসলাম – ৪ শতাংশ জমি
মো. শাহাদত হোসেন – ২ শতাংশ জমি, দাগ নং: —
জমি দখলের সময়কাল ও প্রক্রিয়া:
দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় ক্ষমতা, অস্ত্র এবং ভীতি প্রদর্শন ও জালিয়াতির মাধ্যমে এই ভূমি দস্যুরা জমি দখল করে আসছে। তাদের অত্যাচারে সাধারণ মানুষ সর্বস্ব হারিয়ে দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে পড়েছে।
জমির বর্তমান বাজার মূল্য:
ক্ষতিগ্রস্ত জমিগুলোর বর্তমান বাজার মূল্য অনেক বেড়ে গেছে, প্রতিটি জমি কোটি কোটি টাকার সমান। দখলকৃত জমির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ভূমি দস্যুদের কার্যক্রমও বেড়ে চলেছে।
সাধারণ মানুষের আর্তনাদ ও আইনি পদক্ষেপের আহ্বান:
ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন যেন তাদের জমি পুনরুদ্ধার করা হয়। তারা ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এবং নিজেদের জমি ফিরে পেতে চাচ্ছেন। মানববন্ধন ও প্রতিবাদের মাধ্যমে তারা সরকার এবং প্রশাসনের প্রতি তাদের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য প্রশাসনিক আহ্বান:
দুদক কমিশনার, পুলিশ বিভাগ, উচ্চ আদালত, ফৌজদারি আদালত, এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে ক্ষতিগ্রস্তরা দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ:
ক্ষতিগ্রস্ত জনগণ সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসের কাছে আবেদন জানিয়েছেন যেন এই ভূমি দস্যুদের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করা হয় এবং তাদের জমি ফেরত দেওয়া হয়। ড. ইউনুসের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে তারা ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আশা করছেন।
কপিরাইট সংরক্ষিত: কপিরাইট করা দণ্ডনীয় অপরাধ।