রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী গোদাগাড়ী উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হান্নানের পুত্র সেলিম আহম্মেদ (৫২) ও শামিম আহম্মেদ শ্যাম ওরফে বাবু (৪৫) জাল পাসপোর্ট ও ভিসা দিয়ে ১৮ জনের সঙ্গে প্রতারণা করে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বরে অভিযোগ উঠেছে। এদের প্রতিনিধি হয়ে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বারঘরিয়া কুমারপাড়া গ্রামের মৃত সুজা উদ্দিনের পুত্র আমির হোসেন(৪৬) টাকা আদায়ে সহযোগীতা করেছেন। তানোরের মুন্ডুমালা পৌর এলাকার জগদ্বিশপুর মহল্লার৷ পিউস কিস্কুর পুত্র ইউলিয়াম কিস্কু (৩০) বাদি হয়ে এই তিন জনকে আসামি করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আমলী আদালতে মামলা করেছেন। যাহার মামলা নম্বর-৭৬৮/২০২৩। ভুক্তভোগীরা জানান, আদালতে মামলার পর তাদের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারী হলেও এরা প্রকাশ্যে এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।এমনকি মামলা তুলে নিতে বাদিকে নানাভাবে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এতে বাদিসহ সর্বস্ব হারানো ভুক্তভোগী পরিবারগুলো চরম নিরাপত্তাহীনতার পাশাপাশি মানবেতর জীবনযাপন করছে।
এদিকে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ফেমাস ট্রুর এ্যান্ড ট্রাভেলস, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখার জিএম সেলিম আহম্মেদ ও এমডি শামিম আহম্মেদ শ্যাম বাবু তাদের নিয়োগকৃত দালাল আমির হোসেনের মাধ্যমে জাল পাসপোর্ট ও ভিসা দিয়ে বিদেশ পাঠানোর নামে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। মামলার এজাহারে আরো বলা হয় ৩ নম্বর আসামির প্ররোচনায় ১ ও ২ নম্বর আসামির কথামত বাদিসহ ১৮ জনকে ফিজি রাষ্ট্রে পাঠানোর প্রলোভন ও জাল পাসপোর্ট-ভিসা দিয়ে টাকা এসব টাকা হাতিয়ে নেয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের নিমতলা ফকিরপাড়া ফেমাস ট্রুর এ্যান্ড ট্রাভেলস-এর কার্যালয়ে এসব টাকা লেনদেন করা হয়। এজাহারে বলা হয়
ফেমাস ট্রুর ট্রাভেলস এর ০০৬ নম্বর রশিদে ৩,৫০,০০০ টাকা, ০১৫ নম্বর রশিদে ১,৩০,০০০ টাকা, ০১৩ নম্বর রশিদে ৩,৫০,০০০,০০৪ নম্বর রশিদে ২,৫০,০০০ টাকা, ০১৩ রমিদ নম্বরে ২,৫০,০০০ টাকা, ০০৫ নম্বর রশিদে
৩,৪৫,০০০ টাকা, ০০১ নম্বর রশিদে
৩,৩৯,০০০ টাকা,০০২ নম্বর রশিদে
৩,২০,০০০ টাকা, ০১১ নম্বর রশিদে
৩,৫০,০০০ টাকা, ০০৭ নম্বর রশিদে
৩,৫০,০০০ টাকা ০০৩ নম্বর রশিদে
৩,৫০,০০০ টাকা, ০০৯ নম্বর রশিদে
১,১০,০০০ টাকা এবং ০১৪ নম্বর রশিদে
৩,৪৫,০০০ টাকা। এসব ব্যক্তিদের (ফিজি) বিদেশ পাঠানোর নামে জাল পাসপোর্ট-ভিসা দিয়ে ফেমাস টুর এন্ড ট্রাভেলস’ সর্বমোট ৪১ লাখ ৯৯, হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। কিন্ত্ত টাকা হাতিয়ে নেয়ার দীর্ঘ প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও তারা কাউকে বিদেশ পাঠাতে পারেনি। কিন্ত্ত টাকা ফেরত না দিয়ে তারা সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন।
এদিকে শ্রমজীবী এসব মানুষ তাদের কস্টার্জিত অর্থ প্রতারকদের হাতে তুলে দিয়ে নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছে। এবিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মামলার আসামিদের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তাদের কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।#