বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ০৭:৩২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
তৃতীয় বারও চাটখিল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন জাহাঙ্গীর কবির বাঘায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩ পদে আটজন প্রার্থীর ভোট যুদ্ধ। শিবগঞ্জে ৮ প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে অব্যাহতি নেকজানিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অনিয়ম দুর্নীতির কারণ স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হলেও নেই কোন প্রতিকার বাঘায় দলিল লেখক সমিতির সভাপতি লতিফ, সম্পাদক পিন্টু। শ্যামনগরে উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মাসুমের বিরুদ্ধে প্রদর্শনীর প্রকল্পের টাকাও কৃষি পন্যে বার্নিজ্যের অভিযোগ উঠেছে চাটখিলে ব্যবসায়ীর উপর হামলা করে টাকা ছিনতাই, কিশোরগ্যাং সদস্য কারাগারে টাঙ্গাইলের মধুপুরে নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানের গন সংবর্ধনা শেরপুর উন্নয়ন পরিষদের বৃক্ষচারা রোপন কর্মসূচির উদ্বোধন  নোয়াখালীর চাটখিলে প্রবাসীর বসত বিল্ডিং এর রুম দখলের অভিযোগ

জামালপুরে ৪০ বছর পর বীরমুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জমি উদ্ধার

মোঃ মোশারফ হোসেন সরকারঃ
  • Update Time : বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৫ Time View

দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুসের জামালপুর পৌর শহরের সাহাপুর মৌজার ১৪.২৫ শতাংশ জমি উদ্ধার হয়েছে।
বুধবার সকালে জামালপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাজি আশিক তার প্রশাসনের জনবল নিয়োগ করে এ জমি উদ্ধার করেন।

এ সময় জামালপুর সদর থানার ওসি মহব্বত কবীর, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার সুজায়েত আলী ফকিরসহ গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্ধার কর্মীরা বেদখল হওয়া চারতলার একটি ভবন ও তিন তলার একটি ভবন বুলড্রেজার মেশিন দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়।

জানাগেছে, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কদ্দুস ১৯৭৯ সালে মৃত ঊজির আলী সরদারের স্ত্রী হালিমা খাতুন এর কাছ থেকে জামালপুর পৌর এলাকার সাহাপুর মৌজার দক্ষিণ মুকন্দবাড়ী এলাকায় ১৪.২৫ শতাংশ ভূমি বায়না দলিল মূলে ক্রয় করেন। পরে মৃত উজির আলীর সন্তানাদি নাবালক থাকায় তার স্ত্রী অভিভাবক হয়ে আদালতে আবেদন করলে তা মঞ্জুর হয়। পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কুদ্দুস ভূমির মালিক কে জমিটি সাব- কবলা দলিল করে দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন । ভূমির মালিক নানা তাল বাহানা করতে থাকলে এবং একই জমি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস ৫৭/১৯৮৫ নং চুক্তি প্রবলের মামলা দায়ের করেন। ইতোমধ্যে জনৈক মাহাবুবুল ভূমির মালিক এর সাথে যোগসাজশে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কদ্দুছ এর বায়না দলিল এর পূর্বের তারিখ দেখিয়ে একটি জাল বায়না দলিল তৈরি করেন যা পরবর্তীতে আদালতে প্রমাণিত হয। পরে ৫/১০/১৯৯২ ইং তারিখে বিজ্ঞ সাব জজ আদালতে মামলার বাদী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস এর পক্ষে রায় প্রদান করেন, সেই সাথে পণ মূল্যের বিক্রি টাকা জমা প্রদানের নির্দেশসহ বায়না সংশ্লিষ্ট তফসিল ভূমি আদালতের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে দেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়। পরে বিগত ২৯/০৯/১৯৯৯ তারিখে বিজ্ঞ আপীল আদালতে জেলা জজ কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে মাহাবুবুল হক গং মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশনে ১০৬৩/২০০০ ও ১০৬৪/২০০০ নং সিভিল রিভিশন দায়ের করেন এবং ২৪/০৩/২০১১ তারিখে মাহাবুবুল হকে গং দের পক্ষে রায় প্রদান করেন । মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশনের রায়ের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা আবুল কুদ্দুস মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট ডিভিশনের আপীলেট ডিভিশনে লিভ টু আপিল এবং স্থীতি অবস্থা স্টেটাস কিউও এর আবেদন করলে বিজ্ঞ সুপ্রিম কোর্ট আবেদন গ্রহণ করে সকল পক্ষকে স্থিতি অবস্থা বিরাজ করার নির্দেশ প্রদান করেন ।
পরে হাইকোর্ট এর রায়ের সুবাদে মাহাবুবুল হক স্থানীয় কিছু ব্যাক্তির কাছে চতুরতার সাথে নালিশী ভূমি বিক্রয় করে স্বপরিবারে রাতের আঁধারে জামালপুর ত্যাগ করেন । এবং রাতারাতি নালিশী ভূমি মাটি ভরাট করে বহুতল ভবন নির্মাণ কররেন তারা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102