কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধিঃ ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৪:২৪:৫৮
হলুদ স্কুটিতে চাপ চাপ রক্ত,কিছুটা দূরের ডোবা থেকে উদ্ধার যুবকের মৃতদেহ! ভারতের পশ্চিমবাংলা রাজ্যের হুগলি জেলার চন্ডীতলা থানার হাটপুকুর এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য।
খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।মৃতের স্ত্রী সহ সন্দেহভাজনদের আটক করে চন্ডীতলা থানার ওসি অনিল রাজ খুনের মোটিভ খোঁজার চেষ্টা করছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,রবিবার রাত আটটা নাগাদ স্থানীয়দের নজরে আসে নবাবপুর জনাই রোডের পাশে একটি হলুদ রঙের স্কুটি দাঁড়িয়ে থাকতে।স্কুটির গায়ে লেগে চাপ চাপ রক্ত।যা দেখে রহস্য ঘনিভূত হয়।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান,তারা হাট পুকুর মোড়ে বসে ছিলেন।তখন কেউ এসে রক্ত মাখা স্কুটির খবর দেয়। গিয়ে দেখেন সেই রক্তের ফোঁটা ফোঁটা দাগ একটা ডোবা পর্যন্ত রয়েছে।
স্কুটির পাশে পড়েছিল একটি অ্যাসিডের ভাঙা বোতল।
স্থানীয়রাই পুলিশকে খবর দেয়।চন্ডীতলা থানার ওসির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ আসে।খোঁজাখুঁজি শুরু করে।রাত সাড়ে দশটার পর ডোবা থেকে উদ্ধার হয় যুবকের মৃতদেহ।তার গলায় গভীর ক্ষত চিহ্ন রয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে একটি হেডফোন,রক্তমাখা চটি ও স্কুটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ মৃতের পরিচয় জানা যায়।হুগলি পান্ডুয়া থানার চাঁদপুরের বাসিন্দা ছিলেন শ্রীমন্ত কোড়া(৪৯)। পান্ডুয়ারই টুম্পা ক্ষেত্রপালকে বিবাহ করে গত তিন বছর ধরে চন্ডীতলার কুমির মোরার কাছে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন।রাজ মিস্ত্রির কাজ করতেন।
শ্রীমন্ত আর টুম্পা দুজনেরই এটা দ্বিতীয় বিবাহ ছিল।দুজনেরই আগের পক্ষের দুটি করে সন্তান।
কি কারনে শ্রীমন্তকে খুন করা হল সেই মোটিভ খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ।একটি সূত্র থেকে জানা গেছে,গতকাল ঘটনার সময় শ্রীমন্তর স্ত্রী পান্ডুয়ায় ছিলেন।
খুনের পিছনে যদি তার হাত থাকে তাহলে তৃতীয় ব্যক্তিকে কাজে লাগানো হয়েছে।সেক্ষেত্র খুনি ভাড়া করা হয়েছিল নাকি মৃতের স্ত্রীর কোনো বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে এই ঘটনা তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা।