টপ টেন

সুন্দরবনের জলদস্যু কাজল-মুন্না বাহিনীর তিন সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার

  জিয়াউল ইসলাম জিয়া, বিশেষ প্রতিনিধিঃ ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ১২:৪৩:৪০

সুন্দরবনের জলদস্যু কাজল- মুন্না বাহিনীর তিন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে শ্যামনগর থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার বিকালে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির মোল্লা এ তথ্য জানান। এর আগে সোমবার রাতে যশোরের অভয়নগর থানার গোবিন্দপুর ও আড়পাড়া থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, যশোর অভয়নগরের আড়পাড়া গ্রামের পরিতোষ রায়ের ছেলে বিপ্লব রায় (৩২), গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত চিত্তরঞ্জন মল্লিকের ছেলে সুব্রত মল্লিক (৪৩) ও একই এলাকার কৌতুক বিশ্বাসের ছেলে লক্ষণ বিশ্বাস (৭০)।

শ্যামনগর থানা সূত্রে জানা যায়, সুন্দরবন থেকে রমজাননগর এলাকার দুই জেলেকে অপহরণপূর্বক মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে সোমবার শ্যামনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ লাল্টু। জলদস্যু পরিচয়ে ৯ জন অস্ত্রধারী গত ৪ সেপ্টেম্বর সুন্দরবনের পায়রাটুনি খাল থেকে তাদের অপহরণের ঘটনায় অজ্ঞাত নামীয় নয়জনকে আসামি করে মামলাটি করা হয়।

ভুক্তভোগী জেলেদের বরাত দিয়ে আব্দুল হামিদ জানান, বনবিভাগের অনুমতি নিয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর সকালে সুন্দরবনে যায় রমজাননগর ইউনিয়নের ছয় জেলে। দুপুরের দিকে পায়রাটুনি খালে পৌঁছানোর পর কাজল-মুন্না বাহিনীর পরিচয়ে তার এলাকার জেলে ওয়েজকুরুনি, বিজয় ধীবর, আব্দুস সালাম ও আব্দুল মজিদকে অপহরণ করে জলদস্যুরা। মুক্তিপণের টাকা নির্দিষ্ট একটি বিকাশ নম্বরে পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে একদিন পরে দু’জনকে রেখে অন্যদের ছেড়ে দেয় তারা। এঘটনায় সোমবার তিনি শ্যামনগর থানায় মামলা করেন।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির মোল্লা জানান, মামলা দায়েরের পর প্রযুক্তির সহায়তায় যশোরের বিভিন্ন এলাকা থেকে অপরাধী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের নিকট থেকে আদায়কৃত মুক্তিপণের ৭৪ হাজার টাকাসহ নির্দিষ্ট বিকাশ নম্বরের সিম ও ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশ বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে- দাবি করে তিনি জানান, মুক্তিপণের টাকা হুন্ডির মাধ্যমে ভারতে পাচার করা হয় বলে গ্রেপ্তারকৃতরা তথ্য দিয়েছে। উভয় দেশের সীমান্তবর্তী এলাকার কতিপয় ব্যক্তি এই চক্রের সাথে জড়িত।

আরও খবর