সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড–১-এর সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করায় ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন স্বনামধন্য ঠিকাদার মো. সফিউর রহমান সফি। তাঁর অভিযোগ, কুচক্রী মহল তাঁর বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একের পর এক মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করছে।
সম্প্রতি সাতক্ষীরার স্থানীয় পত্রিকা সাপ্তাহিক বর্তমান সাতক্ষীরা–এর শেষ পাতায় “সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত সাতক্ষীরার আলোচিত সফি, নাশকতার ছক” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সফিউর রহমান বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমার বিরুদ্ধে বানোয়াট ও মিথ্যা সংবাদ ছড়াচ্ছে, যাতে আমি সামাজিক ও পেশাগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হই।
তিনি আরও জানান, “আমি একজন প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার। সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড–১-এর সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শত কোটি টাকার প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আমি দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছি। দুদক ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। এই তদন্তকে প্রভাবিত ও ধামাচাপা দিতে তিনি টাকা দিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় আমার নামে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছেন।”
প্রকাশিত সংবাদের প্রসঙ্গে সফি বলেন, “আমাকে পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বলা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এবং সাতক্ষীরা পৌরসভা নির্বাচনে ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছিলাম। এই কারণেই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমার নামে দুটি মিথ্যা নাশকতা মামলা হয়েছিল—এসটিসি ৩০০/১৬ ও এসটিসি ৩০১/১৬। সেই মামলায় একমাস জেল কেটেছিল। বর্তমানে আমি জামিনে আছি।”
এদিকে ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে সফিউর রহমানের নামে দায়ের করা একটি অভিযোগের অন্যতম স্বাক্ষরকারী ও সাতক্ষীরা পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম জানান, “আমরা দশজন মিলে সফি ভাইয়ের নামে অভিযোগ করেছিলাম। পরে বুঝতে পারি অভিযোগটি মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর ছিল। সাবেক প্রকৌশলী আবুল খায়ের নিজের দুর্নীতি ঢাকতে আমাদের মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন। আমরা অভিযোগটি পরে প্রত্যাহার করি।”
৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম আরও বলেন, “বর্তমান সাতক্ষীরা নামের একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা পূর্বের সেই অভিযোগের কপি ব্যবহার করে গত ৫ অক্টোবর ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করেছে, যার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। সফিউর রহমান আওয়ামী লীগে নন, তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত একজন ব্যক্তি।”
অভিযোগকারী রবিউল ইসলামসহ স্থানীয় আরও সাতজন ব্যক্তি ওই মিথ্যা প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “আমরা সাতক্ষীরা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি সমর্থক হিসেবে এই ভিত্তিহীন সংবাদ প্রত্যাখ্যান করছি এবং এর দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।”