রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সন্ধ্যায় পরপর দুই দফা হামলায় কার্যালয়ের নিচতলার একটি অংশ পুড়ে যায়।
জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, গণঅধিকার পরিষদের কর্মীরা এ হামলায় জড়িত। তবে হামলার সময় সেখানে দলের কোনো নেতা-কর্মী উপস্থিত না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকালে গণঅধিকার পরিষদের কর্মসূচি শেষে একটি মিছিল কাকরাইল এলাকায় আসে। পুলিশের বাধার মুখে তারা সরে গেলেও কিছুক্ষণ পর পুনরায় ফিরে এসে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা চালায়। হামলাকারীরা কার্যালয়ের বাইরে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ও জলকামান ব্যবহার করে তাদের সরিয়ে দেয় এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
জাতীয় পার্টির দাবি, এ ঘটনায় তাদের লাইব্রেরির বই, গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।
দলের মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, *“এটি একেবারেই অগ্রহণযোগ্য ঘটনা। আগের দিনের ঘটনার জের ধরে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরাই এ হামলা চালিয়েছে।”*
উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় কাকরাইলে উভয় দলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই সময় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এর আগে দেশের বিভিন্ন জেলায়ও জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ঠাকুরগাঁও, রাজশাহী ও গাইবান্ধার কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে।
এদিকে শনিবার বিকেলে বিজয়নগরে এক সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদ জাতীয় পার্টির রাজনীতি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিষিদ্ধের দাবি জানায়। তারা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ ও তদন্ত কমিটি গঠনেরও দাবি তোলে।
রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম দৈনিক বাংলাদেশ খবরকে জানান, *“গণঅধিকার পরিষদের কর্মসূচি শেষে তারা এ হামলা চালায়। পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।”*
জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, একইদিন বিকেলে চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের উত্তরার বাসায়ও হামলার চেষ্টা করা হয়। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতির কারণে বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
কাকরাইলে হামলার পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।