টপ টেন

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গুরুতর জখম মোংলার কলেজ অধ্যাপক খুমেকে ভর্তি

  কাজী আতিক, খুলনা প্রতিনিধি: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ১:৩২:৪৩

মোংলা বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যাপক খন্দকার তারিককে মোংলা উপজেলা পরিষদের সামনে কতিপয় সন্ত্রাসী জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হামলা করে। ২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবারে এই ঘটনা ঘটে। হামলায় গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে মোংলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে খুলনা মেডিকেলে রেফার করা হয়। বর্তমানে তিনি খুলনা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন। এ বিষয়ে মোংলা থানায় ভিকটিমের ছোটভাই খন্দকার তুরানুজ্জামান বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করেন।
এজহারে উল্লেখিত শেলাবুনিয়া মৌজার হাল জরিপের ৬৪৮৮ নং দাগে আসামীগণ ভাড়াটিয়া হিসাবে অবস্থান করে ডিসিআর এর নামে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। জেলা প্রশাসক বরাবর গত ৪/২/২০২৪ তারিখে সরকারি জমি ও ব্যাক্তি মালিকানাধীন জমির সীমানা নির্ধারনে আবেদন করি।
সহকারি কমিশনার (ভূমি) তারিকুল ইসলাম তৎপ্রেক্ষিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে উভয় পক্ষকে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরন সহ জেলা প্রশাসনকে অবহিত করেন। পরবর্তিতে ম্যজিস্ট্রেট আদালতে সিআর ২২৮/২৪ নং মামলা রুজু করা হয়। যেখানে আদালতের নির্দেশে বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা শাখা ও মোংলা থানা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। সিআর ২২৮/২৪ নং মামলায় বিবাদীগন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী থাকা অবস্থায় আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিন আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট আদালত জামিন না মঞ্জুর করে করাগারে প্রেরণ করেন। পরবর্তিতে জেলা জজ আদালত হতে জামিন গ্রহন করে আসামীগণ নানাভাবে হুমকী দিতে থাকে। ১ নং আসামী মোংলা পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে দলীয় প্রভাব বিস্তার করে তার সকল ভাই ও সংগীয় কিছু লোকজনকে দিয়ে হুমকি দেয়। গত ১০/৮/২০২৫ তারিখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মংলা বরাবর ডিসিআর সংক্রান্ত বিষয়টিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে লিখিতভাবে আবেদন করি।
মঙ্গলবার আনুমানিক সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে আমার বড় ভাই খন্দকার তারিক সহকারি কমিশনার (ভূমি) মংলার সহিত সরাসরি স্বাক্ষাতের জন্য উপজেলার গেটে উপস্থিত হলে
আসামীরা ভিকটিমকে এলোপাতাড়িভাবে কিল-ঘুষি মেরে মাথায় রড দিয়ে আঘাত করতে থাকে। প্রাণ বাঁচাতে পার্শবর্তী দোকানে আশ্রয় নিলে আসামীরা টেনে হিচড়ে বের করে আঘাত করতে থাকে।
এক পর্যায়ে উপস্থিত লোকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
পরবর্তিতে শারীরিক অবস্থার অবনতির হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় রেফার করে। এবং বর্তমানে খুলনা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন।
মানিকের নেতৃত্বে মোংলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থাকা অবস্থায় পুনরায় আক্রমনের চেষ্টা হলে তৎক্ষনাত মংলা থানার ওসি (তদন্ত) ফোর্স পাঠালে স্থানীয় জনগন প্রতিরোধ করলে তারা হাসপাতাল এলাকা ত্যাগ করে।ষয়ে মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার সুমি বলেন, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ওসিকে নির্দেশ দিয়েছি।

আরও খবর