টপ টেন

ছেলের মৃত্যুর সংবাদ শুনে মুক্তিযোদ্ধা বাবার মৃত্যু, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন

  মেহেদী হাসান বাপ্পি, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: ২১ আগস্ট ২০২৫ , ৯:৩৫:৫৩

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গোড়াই ইউনিয়নের খামারপাড়া গ্রামে ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবার মত্যু হয়েছে। ছেলের নাম খন্দকার ইমারত হোসেন তালেশ (৫৬) এবং পিতার নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আবু সাইদ দলু (৭০)। গতকাল বুধবার (২০ আগস্ট) রাতে বাবা-ছেলের মর্মান্তিক এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এক ঘন্টার ব্যবধানে বাবা-ছেলের মর্মান্তিক এই মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারসহ পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আবু সাইদ দলুকে গার্ড অব অনার দিয়ে রাষ্ট্রীয় মর্যায় দাফন করা হয়েছে। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ বি এম আরিফুল ইসলাম, মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ রাসেদুল ইসলাম, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট আব্দুর রউফ ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার সালাউদ্দিন আরিফসহ বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তারা এই পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।
গোড়াই এলাকার বাসিন্দা মো. বাবুল সিকদার জানান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাইদ দলু ১০ নং গোড়াই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক দুই বারের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত খন্দকার তারিকুল ইসলাম নয়ার বড় ভাই। আর খন্দকার ইমারত হোসেন তালেশ তার ভাতিজা। খন্দকার ইমরাত হোসেন তালেশ স্টোক জনিত কারনে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে গতকাল বুধবার ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে রেফার করা হয়। সেখানে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। অপর দিকে তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আবু সাইদ দলু অসুস্থ্য অবস্থায় মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে গতকাল বুধবার রাতে তিনিও মারা যান। অল্প সময়ের ব্যবধানে বাবা-ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবার ও পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

গতকাল বুধবার রাত এগারটার দিকে নামাজে জানাজা শেষে খন্দকার ইমারত হোসেন তালেশকে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাইদ দলুর নামাজে জানাজা আজ বৃহস্পতিবার বেলা এগারটায় গোড়াই জমিদারবাড়ি মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে জানার পুর্বে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মননা ও ফলের তোরা দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে বলে তার পরিবারের সদস্য ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার আনোয়ার পারভেজ শাহআলম জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ বি এম আরিফুল ইসলাম বলেন, বাবা ও ছেলে অসুস্থ্য অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। অল্প সময়ের ব্যবধানে বাবা-ছেলের মৃত্যুর ঘটনা খুবই মর্মান্তিক। ছেলে খন্দকার ইমারত হোসেন তালেশকে গতকাল বুধবার রাতে দাফন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আবু সাইদ দলুকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ও ফুলের তোরা দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

আরও খবর