জাতীয়

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ প্লাটুন সেনা মোতায়েন

  মোঃ সেলিম উদ্দিন খাঁন, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: ৩১ আগস্ট ২০২৫ , ১১:১০:৪১

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রোববার বিকেলে ১০ প্লাটুন সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশও। আগামীকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। গেল রাতে শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর সংঘর্ষ ঘিরে দিনভর উত্তপ্ত ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি। সকাল থেকেই প্রধান ফটকের সামনে বসে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরাও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন। দুপুর ১২টার পর স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনসহ ক্যাম্পাসের আশপাশে বিভিন্ন বাড়িঘরে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের বের করে আনার চেষ্টা করে কর্তৃপক্ষ। একপর্যায়ে আবারও শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষে জড়ায় এলাকাবাসী। দফায় দফায় ইটপাটকেল নিক্ষেপে প্রক্টর, প্রোভিসিসহ আহত হন অন্তত ৫০ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীরা ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। স্থানীয়দের দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র ও ইট-পাটকেলের আঘাতে আহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, প্রক্টরসহ প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী। এসময় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সহযোগিতা চেয়েও পাওয়া যায়নি অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।দফায় দফায় সংঘাতে রণক্ষেত্র পরিণত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেইট এলাকায়। একে একে আহত শিক্ষার্থীদের নেওয়া হয় হাসপাতালে। পরে বিকেলে ৪টার দিকে ক্যাম্পাসে আসে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ টিম। দেরি করে আসায় শিক্ষার্থীরা এসময় তাদের উদ্দেশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে। পরে আশপাশের গ্রামে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। এসময় শিক্ষার্থীরা আবার চড়াও হয় বাড়িঘরে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় একটি মোটরসাইকেল, ভাঙচুর করা হয় বেশ কিছু ঘর ও দোকানপাট। তবে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যৌথবাহিনী কাজ করছে বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই কর্মকর্তা। যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আবিদ বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১০ প্লাটুন সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। আশপাশের গ্রামগুলো শান্ত আছে। শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’বিকেলে অভিযানে স্থানীয় দুজনকে আটক করলেও পরে যাচাই-বাছাই করে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। ক্যাম্পাসের পরিবেশ স্বাভাবিক করতে চেষ্টার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। রাতে শিক্ষার্থীসহ প্রশাসন সব কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার রাতে ক্যাম্পাস সংলগ্ন ভাড়া বাসা ফিরতে দেরি হওয়ায় দারোয়ানের সাথে এক ছাত্রীর বাক-বিতণ্ডাকে ঘিরে স্থানীয়দের সাথে এই সংঘর্ষ। ইতোমধ্যে আগামীকালকের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মমজাজ উদ্দিন।

আরও খবর