মো. সেলিম উদ্দিন খাঁন, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ ৩১ আগস্ট ২০২৫ , ১:২৪:০৯
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।রবিবার (৩১ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন। তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে রবিবারের সব পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরে পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।এর আগে, শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে দারোয়ানের মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৫০ শিক্ষার্থী আহত হন। আহতদের মধ্যে প্রায় ২০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কয়েকজনের শরীরে দেশীয় অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ গণমাধ্যমকে বলেন, গতকালের ঘটনায় যেসব শিক্ষার্থী বিভিন্ন ফ্ল্যাটে আটকে পড়েছিল এবং যারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছে, তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে এখন ভিসি মিটিং করছি। এলাকার চেয়ারম্যান-মেম্বারকে ডাকা হয়েছে। ডিজিএফআই ও এনএসআইকে জানিয়েছি। সবার সঙ্গে পরামর্শ করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।ঘটনার সূত্রপাত দর্শন বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এক নারী শিক্ষার্থীকে কেন্দ্র করে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটের মাছ বাজার সংলগ্ন শাহাবুদ্দিনের বাসায় ভাড়া থাকেন। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসায় ঢুকতে গেলে দারোয়ানের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দারোয়ান ওই ছাত্রীকে মারধর করেন। পরে ওই শিক্ষার্থী তার এক পুরুষ বন্ধুকে ফোনে বিষয়টি জানান।
খবর পেয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী একত্রিত হয়ে দারোয়ানকে ধরতে গেলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এ সময় স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে স্থানীয়রা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষার্থীরাও চবির সোহরাওয়ার্দী হলের মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।