মো. সেলিম উদ্দিন খাঁন, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ ২৫ আগস্ট ২০২৫ , ৪:০৩:৪১
কক্সবাজারের চকরিয়া থানাহাজতে দুর্জয় চৌধুরী নামের যুবকের আত্মহত্যার ঘটনায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর আগে এএসআই হানিফ মিয়া ও দুই কনস্টেবলকে জেলা পুলিশ লাইনে ক্লোজ্ড করা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ করে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিনকে প্রধান করে চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার অভিজিৎ দাশ ও কোর্ট ইন্সপেক্টর আনোয়ার উল ইসলামকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, দুর্জয় চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী ছিলেন।ৎএছাড়া রোববার দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক-১ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রাবেয়া খানমকে ওএসডি করা হয়। অপর এক অফিস আদেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালককে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে ৩ দিনের মধ্যে সরেজমিন তদন্ত করে সুস্পষ্ট মতামত ও প্রমাণসহ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এদিকে আত্মহননকারী দুর্জয় চৌধুরীর প্যান্টের পকেটে দুটি চিরকুট পাওয়া গেছে বলে অভিজিৎ দাশ নিশ্চিত করেছেন। তবে কর্তৃপক্ষের কেউ চিরকুটের বিষয়টি খোলাসা করেনি। অন্যদিকে পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যার অভিযোগ, মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধের ঘটনায় বিষয়টি রহস্যময় হয়ে উঠেছে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে দুর্জয় চৌধুরী থানাহাজতে আত্মহত্যা করেছেন মর্মে দাবি করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ২ লাখ ৮৩ হাজার টাকা সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ছিল। ২১ আগস্ট রাতে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করে থানাহাজতে রাখা হয়েছিল।