কাজী আতিক, খুলনা প্রতিনিধিঃ ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ১:০১:১৯
খুলনার সাবেক সিভিল সার্জন ডা: সুজাত আহমেদ এর বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী ( শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ মোতাবেক বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিভাগীয় মামলা নং ১৬০/২০২৫ । গত ২৬ আগস্ট স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, শৃঙ্খলা অধিশাখা এর সচিব ডা: সুজাত এর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের এর পাশাপাশি ১০ কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নিদের্শ প্রদান করা হয়। বর্তমানে ডা: সুজাত আহমেদ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপ-পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
এ ব্যাপারে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা: সুজাত আহমেদকে একাধিবার ফোন দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।
জানা গেছে, চলতি বছরের গত ২৬ আগষ্ট স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, ম্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, শৃঙ্খলা অধিশাখা এর সচিব মো: সাইদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে ডা: সুজাত এর বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ নামায়’ উল্লেখ করা হয়, আপানি ডা: সুজাত আহমেদ, সিভিল সার্জন ( চলতি দায়িত্ব), খুলনায় কর্মরত ছিলেন। আপনাকে গত ২০২০ সালের ২৪ আগস্ট ৮২১ নম্বর স্মারক মোতাবেক ডা: সুজাত আহমেদকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের পার-২ শাখা হতে নতুন কর্মস্থল সিভিল সার্জন (চলতি দায়িত্ব). গোপালগঞ্জ হিসেবে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে রিলিজ হয়ে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করার জন্য বদলির আদেশ দেয়া হয়, আপনি আদেশ মোতাবেক ৮ম দিনে স্ট্যান্ড রিলিজ হয়েছেন।
আপনি মন্ত্রণালয়ের বদলির আদেশ অমান্য করে রিলিজ হওয়ার সত্বেও ২০২০-২২ সালের জন্য আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে জনবল নিয়েগের লক্ষ্যে দরপত্র আহবান এবং কার্যাদেশ প্রদান করেন এবং মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অমান্য ও পিপিআর লঙ্গন করেন। আপনার উপর্যুক্ত কার্যকলাপ সরকারি কর্মচারি ( শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩ (খ) ও ৩ (ঘ) মোতাবেক অসদাচরণ ও দুর্ণীতি এর দায়ে অভিযুক্ত করা হলো এবং কেনো আপনাকে উক্ত বিধিমালার অধীনে চাকরি হতে বরখাস্তকরণ অথবা অন্য কেনো গুরুদ- আরোপ করা হবে না, সে বিষয়ে ডা: সুজাত আহমেদকে এ নোটিশ প্রাপ্তির ১০ কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে আপনি ব্যক্তিগত শুনানি চান কি না তাও জানাতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
খুমেক হাসপাতালের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে , খুলনা সাবেক সিভিল সার্জন ডা: সুজাত আহমেদ বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপ-পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তার এই দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আউটসোর্সিংয়ের ঠিকাদারের কতিপয় লোকজন ইসলামসহ বিভিন্ন ব্্যক্তির তার কাছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য পায়তারা করছেন।