খুলনায় জৈষ্ঠ সাংবাদিক ওয়াহেদ-উজ-জামান বুলুর (৬০) রহস্যজনক মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে ‘সাংবাদিক বুলুর মৃত্যু রহস্য উন্মোচন বাস্তবায়ন কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। বিএফইউজে- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম-মহাসচিব মোঃ হেদায়েৎ হেসেন মোল্লাকে আহবায়ক ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএফইউজের সহকারী মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওনকে সদস্য সচিব করে ৮ সেপ্টেম্বর সোমবার এ কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটিতে খুলনা প্রেসক্লাব, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে), মেট্টোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন (এমইউজে), আঞ্চলিক সংবাদপত্র পরিষদ, খুলনা প্রেসক্লাব মাল্টিপারপাস কো অপারেটিভ সোসাইটি, ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন, টিভি জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন, টিভি ক্যামেরা জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন, খুলনা রিপোর্টার্স ইউনিটি, খুলনা ক্রাইম রিপোর্টার্স ইউনিটি, পেশাদার সাংবাদিক সুরক্ষা মঞ্চ, খুলনা জার্নালিষ্ট প্রোটেক্ট কমিটিসহ সাংবাদিক সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ অন্তভুক্ত হবেন।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে) আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন কেইউজের সহ-সভাপতি কাজী শামিম আহমেদ।
সভায় সাংবাদিক বুলুর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে অধিকতর তদন্তের দাবি জানানো হয়। এ দাবিতে খুলনা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার নিকট স্মারকলিপি প্রদান, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, র্যাপিড আ্যাকশান ব্যাটালিয়ন র্যাব-৬ এর কোম্পানী কমান্ডার, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) খুলনা জেলা এসপি, নৌ পুলিশ খুলনার এসপির সাথে পর্যায়ক্রমে সাক্ষাৎ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া এ দাবিতে খুলনার নাগরিক সমাজের সমন্বয়ে প্রতিবাদ সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রায় দুই সপ্তাহ হতে চললো পুলিশ বুলু হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। এটা কোন স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, এর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। সাংবাদিক বুলু আত্মহত্যা করার মতো মানুষ নন। তাকে হত্যা করা হয়েছে অথবা আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে।
বক্তারা বলেন, সাংবাদিক বুলু যদি আত্মহত্যা করেও থাকেন তাহলে কেন তিনি আত্মহত্যা করলেন? আত্মহত্যার পেছনে কি কারণ থাকতে পারে? কাদের চাপে তিনি আত্মহত্যা করলেন? কারা বুলুর মোটা অংকের অর্থ আত্মসাৎ করেছে ইত্যাদি বিষয়গুলো তদন্তের মাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে। বুলুর মৃত্যুর পর যে ভিডিও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছাড়া হয়েছে সেটি এডিট করা হয়েছে বলে নেতৃবৃন্দ মনে করেন। বুলুর মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হলে আগামীতে খুলনাবাসীকে সাথে নিয়ে সাংবাদিকরা কঠোর কর্মসুচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে।
কেইউজের সাধারণ সম্পাদক মহেন্দ্রনাথ সেনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তৃতা করেন, বিএফইউজে- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম-মহাসচিব মোঃ হেদায়েত্ৎ হেসেন মোল্লা, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের সহকারী মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওন, খুলনা প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য শেখ দিদারুল আলম, রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি গৌরাঙ্গ নন্দী, সাংবাদিক সুরক্ষা মঞ্চের আহবায়ক এস এম হাবিব, খুলনা সংবাদপত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা প্রেসক্লাব মাল্টিপারপাস কো অপারেটিভ সোসাইটির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিল্টন, খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমেদ মোল্লা, বিএফইউজে- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী সদস্য কৌশিক দে বাপী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএফইউজের সাবেক নির্বাহী সদস্য এইচ এম আলাউদ্দিন, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম কাজল, খুলনা মেট্রোপলিট সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাসান হিমালয়, সিনিয়র সাংবাদিক রকিব উদ্দিন পান্নু, সুনীল দাস, গাজী মনিরুজ্জামান, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক রানা, বাংলাদেশ জার্নালিস্ট প্রটেক্ট কমিটির আহবায়ক আনিসুর রহমান কবীর, খুলনা প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য আশরাফুল ইসলাম নুর, ক্রাইম রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক আহমেদ মুসা রঞ্জু, সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক এসএম মনিরুজ্জামান, কেইউজে নির্বাহী সদস্য নেয়ামুল হোসেন কচি, সদস্য জাহিদুল ইসলাম, আল মাহমুদ প্রিন্স প্রমুখ।
উল্লেখ্য গত রোববার (৩১ আগষ্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে খুলনার খানজাহান আলী (রহ:)-রূপসা সেতুর ২ নম্বর পিলারের বেজমেন্ট থেকে খুলনার জৈষ্ঠ্য সাংবাদিক ওয়াহেদ-উজ-জামান বুলু’র লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন। এছাড়া তিনি খুলনা প্রেসক্লাব ও খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে) এর সদস্য ছিলেন