খানা-খন্দে ভরা খুলনা-মোংলা মহাসড়ক এখন মরণফাদে পরিণত হয়েছে। পিচঢালা রাস্তার পিচ উঠে বড়বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে তা এখন যানবাহন ও পথচারী চলাচলের সমস্যার করণ হয়ে দাড়িয়েছে। রাস্তাটি সংস্কার করা না হলে যানবাহন চলাচলে চরম বাঁধা হয়ে দাড়াবে।
জানা যায়, প্রতি বছর বর্ষার মৌসুমে খুলনা-মোংলা মহাসড়েকের এই করুন পরিস্থিতির শিকার হয় সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন পরিবহনের চালকরা। আর প্রতিবছরে নামমাত্র সংস্কার করা হয় এই মহাসড়ক। মাত্র কয়েক মাস আগেও মহাসড়কটি সংস্কার করা হয়েছে। কিছু দিনের ব্যবধানে আবারো সড়কটির বেহাল অবস্থা। সংস্কার করা স্থানে পিচ-পাথরের টুকরো উঠে গিয়ে বড়ো বড়ো গর্তে পরিনত হয়েছে। বৃষ্টিতে এসব গর্তে পানি জমে থাকে। ছোট ছোট যানবাহন এসব গর্তে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যান চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ায় সংস্কার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। খানা-খন্দে ভরা এ সড়কে যানবাহন চলাচলে এখন প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের। তারা সড়কের এমন বেহাল দশার জন্য কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন। আর রাতের বেলায় এই মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করা আরো কষ্টকর।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশের দ্বিতীয় মোংলা সমুদ্র বন্দর। এ বন্দরে আমদানী-রপ্তানী পণ্যসহ স্থানীয়ভাবে গড়ে ওঠা উৎপাদনমুখী ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের স্থলপথে পণ্য পরিবহন ও যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম মোংলা-খুলনা মহাসড়ক।
মহাসড়কটির ২৫ কিলোমিটার সড়ক ও জনপথ বিভাগের এবং ৫ কিলোমিটার মোংলা বন্দরের আওতায়। খুলনা-মোংলা মহাসড়কের কুদির গাছতলা মোড়, লকপুর এলাকার কিছু অংশ, কাটাখালি মোড়, শ্যামবাগাত, চুলকাঠি এলাকার কিছু অংশ, সোনাতুনিয়া বাস স্ট্যান্ড, ভরসাপুর মোড় হতে খানজাহান আলী বিমানবন্দর এর সামনে মহাসড়কের বেশ কিছু অংশ ছোট বড় গর্ত ও খানা-খন্দ রয়েছে।
পথচারীরা জানান, সড়কটি ব্যবহারে আমাদের যেমন সময় নষ্ট হয় তেমনি অর্থও। এ ব্যপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় এলাকাবাসি সড়ক ও জনপদ বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।