মো. সেলিম উদ্দিন খাঁন, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ ২৫ আগস্ট ২০২৫ , ১০:১৪:০৮
ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে সরগরম কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র! বৈরী আবহাওয়ার কারণে গভীর সাগরে মাছ ধরতে পারেননি জেলেরা। তবে এখন প্রতিদিনই সাগরে ধরা পড়ছে প্রচুর ইলিশ। বৈরী আবহাওয়ার কারণে গভীর সাগরে মাছ ধরতে পারেননি জেলেরা। তবে এখন প্রতিদিনই সাগরে ধরা পড়ছে প্রচুর ইলিশ। মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে সরবরাহ বাড়লেও দামের লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। আকার অনুযায়ী দাম নির্ধারিত হয় ইলিশের। সর্বনিম্ন ১ হাজার ৫০০ থেকে শুরু করে ৩ হাজার ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে জাতীয় এ মাছ।ক্রেতারা বলছেন, সিন্ডিকেটের কারণে ইলিশ মাছের দাম কমছে না। মৌসুমে শত শত টন ইলিশ কক্সবাজারের বাইরে নিয়ে বিক্রি করা হয় দ্বিগুণ দামে। তাছাড়া এগুলো ফ্রিজিং করে বৈশাখের সময়ও বিক্রি করা হয়।সরজমিনে দেখা গেছে, কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের প্রায় পুরোটায়ই ইলিশ। ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়লেও স্থানীয় বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরাও কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন।খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, মূলত ফিশারি ঘাটের ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে আগেভাগেই কক্সবাজারের বাইরে বিক্রি করে দিচ্ছেন ইলিশ। ফলে স্থানীয় বাজারে দেখা দিচ্ছে সংকট। আর যেটা পাওয়া যাচ্ছে সেটাও কিনতে হচ্ছে চড়া দামে।কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ ও পাইকারি মৎস্য বাজার সূত্রে জানা গেছে, গত মাসে সাগরে ১৮০ টন ইলিশ ধরা পড়ে, যা আগামীতে আরো বাড়বে। কিন্তু সরবরাহ বাড়লেও দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। ব্যবসায়ীদের আগে-পরের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য মৌসুমে শুরুর দিকে এমন চড়া দাম বলে মনে করছেন অনেকে। ফিশারি ঘাটের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শাহেদ বলেন, ‘সাগরে অনেকদিন সতর্ক সংকেতের কারণে মাছের আকাল ছিল। এখন ইলিশ আসছে। তবে দাম একটু বেশি। মাছ আসার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়ীরা নিয়ে যাচ্ছেন ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায়।’ ব্যবসায়ী আশরাফুল হাসান রিশাদ বলেন, ‘ইলিশের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। প্রতিদিন অনলাইনে অনেকে বুকিং দিচ্ছেন। এখন একদম তাজা ইলিশ আসছে। ক্রেতাদেরও সরবরাহ করতে পারছি চাহিদামতো। তবে এখন ঝাটকার দাম একটু কম। এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশের দাম দেড় হাজার টাকার ওপর। এগুলো ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে গিয়ে চড়া দামে বিক্রি করছেন।’ কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ ও পাইকারি মৎস্য বাজার বিএফডিসির ব্যবস্থাপক আশীষ কুমার বৈদ্য জানান, ফিশারিঘাটে ইলিশ মাছ যতই থাকুক কিন্তু দামের লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হচ্ছে না। এতে করে শৌখিনদের পাতে ইলিশ থাকলেও সাধারণ ক্রেতারা ইলিশ খাওয়া থেকে বঞ্চিত রয়ে যাচ্ছেন।