বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেছেন, “আমাকে ৭০ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমি বিদেশে পালিয়ে যাইনি। আমার ভিসা ছিল, চাইলে চলে যেতে পারতাম। কিন্তু আমি কোনো অন্যায় করিনি যে বিদেশে পালাতে হবে। চার বছর জেল খেটেছি, জেলের কষ্ট আমি বুঝি। আবার জনগণের মাঝেই ফিরে এসেছি এবং আপনাদের সঙ্গে থেকে কাজ করতে চাই। অতীতে কোনো অন্যায় করিনি, ভবিষ্যতেও করব না।
তিনি আরও বলেন, আমার কারণে কখনো কোনো হিন্দু পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। আমি যখন এমপি ছিলাম, তখন বহু হিন্দু পরিবারের সন্তানদের চাকরির ব্যবস্থা করেছি। একসাথে ৩৭টি স্কুল-কলেজ এমপিওভুক্ত করেছি, যার মধ্যে ৫টি আওয়ামী লীগের ব্যক্তিদের প্রতিষ্ঠান ছিল। কারও কাছ থেকে এক টাকা নিইনি। যদি আবারও ক্ষমতায় আসতে পারি, তাহলে হিন্দু পরিবারের পাশে পাকবো।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল থেকে তালা সদর ও খলিলনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, পূজা উদযাপনকে কেন্দ্র করে যেন কেউ কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আমরা চাই, শান্তিপূর্ণভাবে সকল ধর্মীয় উৎসব অনুষ্ঠিত হোক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মৃণাল কান্তি রায়,বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম,খলিলনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গাজী আছির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম শহিদুল্লাহ গাজী,তালা বাজার বনিক সমিতির সভাপতি নুরুল ইসলাম, তালা সদর ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম বিশ্বাস,সহ-সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সাইদুর রহমান,যুবদল নেতা নুরু ইসলাম বিশ্বাস সহ উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।